স্বদেশ ডেস্ক:
দুইবারের অস্কারজয়ী ব্রিটিশ অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ গ্লেন্ডা জ্যাকসন মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে ৮৭ বছর বয়সে লন্ডনে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
জ্যাকসনের সহকারী লিওনেল লার্নার ওয়াশিংটন পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্বল্প অসুস্থতার পর নিজ বাড়িতেই মারা গেছেন এই অভিনেত্রী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সমর্থনে নিউইয়র্কের পর দ্বিতীয় কনসার্টটি হয়েছিল লন্ডনে। বাংলাদেশের সমর্থনে অনুষ্ঠিত সেই কনসার্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন গ্লেন্ডা জ্যাকসন।
পর্দা ও মঞ্চ দুটিতেই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। মাঝে পেশাবদল করে চলে গিয়েছিলেন রাজনীতিতে। তবে সেখানে তৃপ্তি না পেয়ে পরে আবারও ফিরে আসেন অভিনয়ে।
১৯৩৬ সালে উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের বার্কেনহেডে জন্ম গ্লেন্ডার। লন্ডনের রয়্যাল অ্যাকাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট-এ অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬০ থেকে সত্তরের দশকের সবচেয়ে বড় ব্রিটিশ তারকাদের একজন হয়ে উঠেছিলেন গ্লেন্ডা। পরপর দুই বছর অস্কার জিতেছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ‘উইমেন ইন লাভ’-এর জন্য এবং ১৯৭৪ সালে ‘আ টাচ অব ক্লাস’ সিনেমার জন্য এই সম্মান পেয়েছিলেন।
১৯৯২ সালে সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন গ্লেন্ডা। তিনি লেবার পার্টির একজন আইনপ্রণেতা হিসেবে ২৩ বছর অতিবাহিত করেন। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের প্রথম সরকারে পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের জন্য ব্লেয়ারের সঙ্গে মতবিরোধে গিয়েছিলেন তিনি। জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়াই আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধে নামার সিদ্ধান্ত তাকে ব্যথিত করে।
২০১৫ সালে পার্লামেন্ট ছেড়ে আবারও অভিনয়ে ফিরে আসেন গ্লেন্ডা। ২০১৬ সালে মঞ্চে ‘কিং লিয়ার’ চরিত্রে অভিনয় করেন। তারপর ২০২০ সালে টিভি নাটক ‘এলিজাবেথ ইজ মিসিং’-এ পর্দায় ফিরে বাফটা অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন।
জ্যাকসনের সাবেক আসনে থাকা লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক এক টুইটবার্তায় বলেছেন, ‘আমার পূর্বসূরি গ্লেন্ডা জ্যাকসন মারা গেছেন শুনে আমরা মর্মাহত। একজন শক্তিশালী রাজনীতিবিদ, একজন অসাধারণ অভিনেত্রী এবং আমার জন্য খুব সহায়ক পরামর্শদাতা ছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক খবর। গ্লেন্ডার বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে আমাদের সমবেদনা থাকবে।’